রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ থেকে আটক অন্তত ৩০

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ থেকে আটক অন্তত ৩০


রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরি, বাড্ডা, ইসিবিসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় আবারও বিক্ষোভ করার চেষ্টা করেছে কিছু শিক্ষার্থী। এ সময় ঘটে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাও। বিক্ষোভের চেষ্টাকালে বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ৩০ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

পরিস্থিতি বিবেচনায় সোমবার (২৯ জুলাই) সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে সতর্ক অবস্থান নিয়েছিল আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

দুপুর ১টার দিকে, সায়েন্সল্যাব এলাকায় জড়ো হতে শুরু করেন কিছু শিক্ষার্থী। পুলিশের বাঁধা উপেক্ষা করে বিক্ষোভ মিছিল করার চেষ্টা করেন তারা। তখন তাদের ধাওয়া করে পুলিশ। ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় মিছিল। সেখান থেকে ১০ জনকে আটক করা হয়।

পরে, দুপুর ২টার কিছু আগে নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করেন কিছু শিক্ষার্থী। তার আগেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে কঠোর অবস্থানে ছিলেন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। সেখানে অন্তত ১৫ জনকে আটক করা হয়।

এ সময় সেখানে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায় এক অভিভাবককে মা’কে। তার অভিযোগ, তার ছেলে ছাত্র নয়। তিনি অসুস্থ তাই বাজারে যাওয়ার জন্য বের হয়েছিল তার ছেলে। যুবক দেখলেই আটক করা হচ্ছে বলে অভিযোগও করেন ওই অভিভাবক।

প্রায় একই সময়ে বাড্ডা এলাকায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনেও ছিল পুলিশের কঠোর অবস্থান। শিক্ষার্থীরা সেখানে সমবেত হতে পারেননি। আটক করা হয় ৩ জনকে।

এর আগে, বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ইসিবি চত্বরে জড়ো হন বেশ কিছু শিক্ষার্থী। সেখানেও ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দেয়া হয় তাদের। এ সময় অন্তত ২০ জনকে আটক করে পুলিশ।

আটকদের কেউ ছাত্র নয় উল্লেখ করে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, জামায়াত শিবিরের আন্দোলনের ফলে সাধারণ মানুষ আতঙ্কগ্রস্থ হচ্ছে। তারা অন্ধকারে থেকে এসব কর্মসূচী দিচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এর আগে, রোববার (২৮ জুলাই) ডিবি হেফাজত থেকে কোটা আন্দোলনের ৬ সমন্বয়ক যৌথ বিবৃতি দিয়ে কর্মসূচি প্রত্যাহার করে। তবে শিক্ষার্থীদের একটা অংশ দাবি করেন, ওই বিবৃতি স্বতস্ফুর্তভাবে দেয়া নয়, বরং তাদের জিম্মি করে বক্তব্য পাঠ করানো হয়েছে। পরে তারা ওই বক্তব্য প্রত্যাহার করে নতুন কর্মসূচিও ঘোষণা করে।

Post a Comment

Previous Post Next Post